বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে জমে উঠেছে শীতের পিঠা উৎসব।
মোঃ নুহু ইসলাম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ-
পটুয়াখালী সহরে জমে উঠেছে শীতের পিঠা জ্বলন্ত চুলায় লাকড়ি দিয়ে পাঁচটি-ছয়টি মাটির খোলায় চিতই পিঠা বানাচ্ছেন রাসেল হোসেন চুলার অল্প আঁচে উড়ছে ধোঁয়া।
তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু চিতই সাজের পিঠা, কুয়া পিঠা , ভাপা পিঠা,সহ আর অনন্য আর চুলা থেকে নামানোর পর মুহূর্তেই তা চলে যাচ্ছে অপেক্ষামাণ ক্রেতার হাতে।
প্রশাসনের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সেই পিঠা কিনছেন। কেউ বা নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য।
কেউ আবার দাঁড়িয়েই খাচ্ছেন।
পাশের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে ব্যস্ত মানিক
রাস্তার পাশে এই দুই ভাইয়ের দোকানে অর্ধশত মানুষ পিঠা কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছেন।
শনিবার ১৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ লাইন্স এর পশ্চিম পাশের কলাতলা বাজারে রাস্তার উপরে এই দৃশ্যের দেখা মেলে।
রাসেল বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলে পিঠা বিক্রি করি। এবার প্রায় ১০-১৫দিন হয়েছে চিতই পিঠা বিক্রি শুরু করেছি। ৫ টাকা করে প্রতি পিস, বিক্রিও খুব ভালো।
কবির নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী রাসেল এর দোকান থেকে পিঠা কিনে প্রশংসা করে বলেন, এখানকার পিঠার মান ভালো। তাই প্রতিবছরই কিনে থাকি। এবারও কিনেছি।
সোলেমান নগরের প্রবেশপথে পাশাপাশি দুই দোকানে পাটিসাপ্টা, ভাপা, কুলি,তেলের পিঠা ও চিতই পিঠা বিক্রি করছেন মানিক এবং মানিকের স্ত্রী ও মেয়ে
রাসেল জানান, কুলি পিঠা ১০ টাকা পিস, পাটিসাপ্টা ১৫ টাকা ও পিস ১০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে,পিঠা তৈরির ছাঁচে চালের গুঁড়ি নিয়ে তার ওপর গুড়, নারকেল ছিটিয়ে ভাপে দিচ্ছেন দোকানি। খোলায় বানানো হচ্ছে চিতই পিঠা। সন্ধ্যার পরেই পিঠার দোকানে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পিঠার দোকান সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। অনেকে আবার পিঠা বিক্রির দোকান দিয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন।
কলাতালা চৌরাস্তা,ঝাউতলা,তিতাস মোড়,সবুজ বাগ কলেজ রোড,পৌরসভার মোড়,বনানী মোড়,সিংঙ্গারা মোড়,মুক্তির মোড়, ব্যামাগার মোড়, পিটিএস মোড়,নিউ মার্কেট চওর, লঞ্জঘাট এলাকা,বাস স্ট্রান্ড মোড়,বাদঘাট এলাকা,আরও অনন্য স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মোড় আর ফুটপাতে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক অস্থায়ী পিঠার দোকান।
মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীরা মোড়ে মোড়ে পিঠার দোকান নিয়ে বসে পড়েছেন। আর সাধারণ মানুষও খাচ্ছেন এসব ধোঁয়া-ওঠা গরম পিঠা।
দোকানিরা জানান, খুব বেশি পুঁজি লাগে না বলে সহজে এ ব্যবসা শুরু করা যায়। জ্বালানি হিসেবে খড়ি, অকেজো কাঠের টুকরা, কিংবা গাছের শুকনা ডাল ব্যবহার করছেন তারা। তবে কেউ কেউ আবার পিঠা তৈরি করতে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। কিছু গুড়, আটা, নারকেল নিয়ে এ ব্যবসা খুলে বসা যায়।